ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবহেলা

১৪ শিক্ষক পরীক্ষক হতে পারবেন না পাঁচ বছর

১৪ শিক্ষক পরীক্ষক হতে পারবেন না পাঁচ বছর

কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় উত্তরপত্র (খাতা) মূল্যায়নে দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার দায়ে ১৪ জন পরীক্ষককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এই শিক্ষকরা আগামী পাঁচ বছর এসএসসিসহ সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারবেন না। ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ১১ জুন প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ফেল থেকে পাস করেন ১২৭ জন এবং নতুন করে ৩৪৪ জন জিপিএ-৫ পান। ফল পরিবর্তনের এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। প্রতিবছরই পাবলিক পরীক্ষায় এমন চিত্র দেখা যায়। পরবর্তীতে বোর্ডের পক্ষ থেকে এমন হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হয়।

জানা গেছে, ফল পুনঃনিরীক্ষণের সময় যেসব উত্তরপত্র পুনরায় যাচাই করা হয়, তাতে মূলত নম্বর গণনা, কোনো উত্তরের নম্বর বাদ পড়েছে কি না, এসব বিষয় দেখা হয়। তাতে যেসব পরীক্ষকের মূল্যায়ন করা উত্তরপত্রে ভুল পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে ঢাকা বোর্ড। বোর্ড থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কালো তালিকাভুক্ত শিক্ষকরা ঢাকা বোর্ডের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক ও নিরীক্ষক হতে পারবেন না।

তবে এ সময়ের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনাসহ অন্যান্য সব দায়িত্ব পালনে তাদের বাধা নেই। কালো তালিকাভুক্ত ১৪ পরীক্ষক হলেন- ফরিদপুরের আব্দুল কাদের খান, নারায়ণগঞ্জের মো. ফজলুল হক, কেরানীগঞ্জের মো. আবুল ইহসান, টাঙ্গাইলের অনিমেষ মন্ডল, নরসিংদীর মজিবুর রহমান, কামরুল হাসান, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, রাজবাড়ীর আরিফুল ইসলাম, মোছা. জান্নাতুন নেছা, রুপা বেগম, মুন্সিগঞ্জের ইয়াসমিন আক্তার, গোপালগঞ্জের মৃণাল কান্তি সরকার, গাজীপুরের মোমতাজ উদ্দিন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত