কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল করেন। এতে সড়কে গণপরিবহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, অনেক পরিবহন মালিক সড়কের ধারে গাড়ি বন্ধ করে রাখেন। এতে গণপরিবহন সংকট দেখা গেছে। গতকাল শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকলেও বেসরকারি চাকরিজীবীরা অফিসে যাওয়ার পথে সড়কে গণপরিবহনের সংকটে পড়েন। এতে অনেকে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যান। সরেজমিন ফার্মগেট, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, আসাদগেট গুলিস্তান ও পল্টন মোড় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে সড়কে মিছিল করায় গণপরিবহন সংকট তৈরি হয়। আবার কোথাও মিছিলের কারণে গণপরিবহন আটকে থাকায় যানজটের তৈরি হয়। টানা কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত ঢাকার রাজপথ। বড় বড় পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করে। ভোগান্তি এড়াতে রাস্তায় মানুষ ও যানচলাচল ছিল তুলনামূলক অনেক কম। তবুও জরুরি কাজে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। কারণ মোড়ে মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাস্তা ব্লক করে অবস্থান করার কারণে যানচলাচল অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে। যেসব ট্রাফিক এলাকায় মোড় সংলগ্ন বাইপাস অথবা ডাইভারশন সড়ক রয়েছে, সেখানে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে আটকেপড়া যানবাহনগুলোকে ডাইভারশন করে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যানবাহন আটকানো ও ঘুরিয়ে দেওয়াসহ নানা ভোগান্তিতে পড়া মানুষকে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতেও দেখা যায়। আবার অনেকে গণপরিবহন না পেয়ে, সিএনজি, রিক্শা, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চলাচল করেন। এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে গণপরিবহন দীর্ঘ সময় আটকে থাকে। বাস দীর্ঘসময় আটকে থাকায় যাত্রীরা নেমে যান। তবে, মহাখালী বাস টার্মিনাল, হাতিরঝিল, ইসিবির সব এলাকার রাস্তাঘাট, কুড়িল, নতুনবাজার ও বাড্ডা লিংক রোডে গাড়ির গতি স্বাভাবিক ছিল।