গুলশান কমার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এম এ কালামকে গত ৩০ জুলাই তার কলেজ হতে একদল সাদা পোশাক পরিহিত গোয়েন্দা সংস্থার লোক তুলে নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গুরুতর কোনো অভিযোগ না পেয়ে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এম এ কালামের পরিবার থেকে জানানো হয়, শিক্ষা ও কলেজ সংক্রান্ত উন্নয়ন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক চর্চা তিনি করতেন না। গুলশান কমার্স কলেজে এত এত ছাত্রছাত্রী, কেউ কখনো বলতে পারবে না কাউকে কোনো রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে। পাঠদান উন্নতিকরণ ও কমার্সবিষয়ক বই লেখা ছাড়া অন্য কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে তাকে কখনো দেখা যায়নি। সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রমেও তিনি ছিলেন সক্রিয়। তারপরও কেন তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সদুত্তর পায়নি তার পরিবার। কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাকে কখনো কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে তারা শুনেননি। তিনি কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন না বলে বিশ্বাস করেন কলেজের ছাত্রছাত্রী, গভর্নিং বডি, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। তাই তারা দ্রুত অধ্যক্ষ এম এ কালামের মুক্তি দাবি করছেন। উল্লেখ্য এম এ কালাম ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের মূল্যায়নে ঢাকা মহানগরের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।