কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গতকাল রোববার সারাদিন শান্ত থাকলেও সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজার শহরে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। রাত ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজারে একজন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ ৯ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পৌনে ৮টার দিকে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। রাত ৯টা পর্যন্ত ধাও ধাও আগুন জ্বলছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান গনি জানিয়েছেন। এদিকে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের কর্মীরা জেলার পাঁচটি পুলিশ বক্সে হামলা করে ভাঙচুর করেছে। পুরো কক্সবাজারজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া কক্সবাজার সদরের কাছাকাছি এলাকা ঈদগাহ উপজেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তারা কয়েকদফা ঈদগাহ থানায় হামলারও চেষ্টা চালায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন এবং ঈদগাহর ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। একজন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ ৯ জন আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আশিকুর রহমান। তবে তৎক্ষণিক নিহত ও আহতদের নাম জানা যায়নি। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর দুইটি নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে পুলিশ বক্স ভাঙচুর, ঈদগাহ থানায় দফাদফা হামলার চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।