দেশের চলমান পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই শিশুরা এক দুঃসহ সময়ের মুখোমুখি হয়েছে। নিজ গৃহে নিহত এবং আহত হয়েছে কয়েকজন শিশু। এ রকম পরিস্থিতিতে উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিকরা মিলে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতে এই মুহূর্তে করণীয় উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, শিশু-কিশোরদের গ্রেপ্তার ও আটকের ঘটনা ঘটছে, যা সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনার লঙ্ঘন। এ মুহূর্তে আমাদের করণীয় বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, শিশু অধিকার সনদ এবং বাংলাদেশের শিশু আইন-২০১৩ এর আলোকে শিশুদের প্রতি রাষ্ট্রের আচরণ পরিচালিত হওয়া উচিত। শিশু ও কিশোর হত্যার তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আটক শিশুদের বয়সভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাদের হাতে হাতকড়া/মাজায় দড়ি বেঁধে নেয়া যাবে না। আটক ?শিশুদের পুলিশ হেফাজতে রাখা যাবে না, জেরার নামে রিমেন্ডে নেয়া যাবে না এবং আটক শিশুদের ছবি মিডিয়াতে প্রকাশ করা যাবে না। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসাররা শিশু সুরক্ষায় আরো সক্রিয় হবেন এবং আইন অনুযায়ী থানা থেকে তাদের প্রবেশনের ব্যবস্থা করবেন। পরিবারের বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে নিরাপদ। সরকারের প্রতি আবেদন যত দ্রুত সম্ভব স্কুল খুলে দেয়া, যাতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে পারে। এটা শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাভাবিকতা ফিরে পেতে সহায়তা করবে।