চলমান পরিস্থিতিতে বাস বন্ধ থাকায় নওগাঁয় কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা। বাস বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা আয় থেকে বঞ্চিত। দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসে কর্মচাঞ্চল হয়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা সকলের। যে কোনো উদ্ভুট পরিস্থিতিতে দূর্ভোগে পড়তে হয় দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষদের। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে পরিবহণ/বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বাস মালিক, চালক, হেলফার ও সুপারভাইজারসহ অন্তত দুই হাজার মানুষ অলস বসে রয়েছে। কাজ না থাকায় পুঁজি ভেঙে খেতে হচ্ছে। কর্মহীন বসে রয়েছে হাজারো দিনমজুর। শহরের বালুডাঙা বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলার ১০টি উপজেলাসহ পাশের চারটি জেলায় প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বাস চলাচল করে। বাস বন্ধ থাকায় বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিকরা অলস বসে গল্প ও লুডু খেলে সময় পার করছেন তারা। আবার কেউ বাস মেরামতের কাজ করছেন। বাস বন্ধ থাকায় ব্যাটারি নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় মাঝেমধ্যে চালু করে রাখতে হচ্ছে। বাস বন্ধ থাকায় মানুষ জরুরি প্রয়োজনে অটোরিকশা (সিএনজি) ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় চলাচল করছে। বাস চালক আইয়ুব আলী বলেন- গত প্রায় ৩০ বছর থেকে বাস চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। বর্তমানে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস চালাই। দিনে আয় হয় ৫০০-৭০০ টাকা। চলমান পরিস্থিতিতে গত দুই দিন বাস বন্ধ থাকায় আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পুঁজি ভাঙিয়ে খেতে হচ্ছে তাকে। আরেক বাস চালক আব্দুল আলিম বলেন- বাস চলবে এই আসায় বাসস্ট্যান্ডে আসা। কিন্তু দুই থেকে বাস বন্ধ থাকায় আয় বন্ধ হয়ে গেছে। স্ট্যান্ডে এসে কেউ গল্প করছে আবার কেউ লুডু খেলে সময় পার করছে। খালি হাতে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে। বাস শ্রমিক সোহেল বলেন- আমরা পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করি। দিনে আনা দিন খাওয়া অবস্থা। কাজ না থাকলে চলা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। এমন পরিস্থিতি থেকে আমরা মুক্তি চাই। হাঁপানিয়া এলাকার অটোচালক শহিদুল ইসলাম বলেন- দিনে ৪৫০ টাকা ভাড়া নিয়ে অটো চালাতো হয়। বর্তমান শহরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে। তবে যাত্রী খুবই কম। যে টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়েছি সে টাকাও উঠানো সম্ভব হচ্ছে না।