ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশ নেই কাজ করছে শিক্ষার্থীরা

নারায়ণগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশ নেই কাজ করছে শিক্ষার্থীরা

নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এ সময় তারা জানিয়েছেন সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় তারা নিজেরাই স্বেচ্ছায় নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে কাজ করছেন।

জানা গেছে, গত সোমবার ৫ আগষ্ট দুপুরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ শহরে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে লাখো ছাত্র জনতা। এ সময় বিক্ষুব্ধ অনেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা করে আগুন জ্বলিয়ে দেয়। এছাড়াও জেলা পুলিশ লাইনস ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়েও হামলা লুটপাট চলে। মূলত এর পর থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কিছু কিছু দোকানপাট খোলা হলে দুপুরের দিকে যানজট বাড়ে শহরে। এ সময় কোনো ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে। বিশেষ করে শহরের চাষাড়া ও এর আশপাশের এলাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভের সামনে সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী তন্ময় বলেন, ট্রাফিক পুলিশ ভয়ে পালিয়েছে। তারা ভয় পাচ্ছে যে সড়কে নামলে তাদের উপর হামলা হতে পারে। সেজন্য কেই অসেনি বিধায় আমরা তাদের কাজগুলো এখানে করছি। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত আমরা ৮ জন এখানে আছি কোনো সমস্যা হয়নি। সবাই আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছে।

শহীদ মিনারের সামনে এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, খুবই ভালো লাগছে যে সবার জন্য কাজ করতে পারছি। রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছি বলে তো আর ছোট হয়ে যাইনি। সবাই এটাকে ভালো বলছে এবং তা শুনে ভালো লাগছে। আমাদের মতো তরুণদের উচিৎ দেশের মানুসের সেবায় এভাবে এগিয়ে আসা। আমরা সড়কে আছি বাকিরা অন্য জায়গাগুলো দেখলে ভালো হবে। শুনেছি শহরে লুটপাট হচ্ছে, তাই সেটাও আমাদের দেখা উচিৎ।

শিক্ষার্থীরা সড়কে দায়িত্ব পালন করায় সব ঠিক মতো হচ্ছে জানিয়ে শহরের কালির বাজার এলাকায় এক জাহাঙ্গীর আলম নামে এক অটো চালক বলেন, ওরাই ঠিক আছে। কোনো ঝামেলা নাই। এতোদিন আমরা টেকা ছাড়া গাড়ি চালাইতে পারতাম না। শহরে ঢুকলেই পুলিশরে টেকা দিতে হইত। আজকে সারাদিন ছাত্ররা কাজ করছে দেইখা কোনো টাকা লাগে নাই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত