শামীম ওসমান ছেলেকে নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে : গিয়াসউদ্দিন
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, শামীম ওসমান তার ছেলে ও ভাতিজাকে নিয়ে অস্ত্র হাতে নিরস্ত্র ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে। এদেরকে ছাড়া যাবে না। আমরা আইন হাতে তুলে নিব না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। গতকাল বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে এত দাম্ভিকতা করেছিল। আজকে তারা কোথায়। পালিয়েছে, বোরকা পড়ে পালিয়েছে। সে কাপুরুষ, আমি সবসময় বলতাম এই কাপুরুষকে ভয় পাবেন না। যতদিন এদের শায়েস্তা করতে না পারি আমি আছি। তিনি আরো বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে ছিল দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এমন কোনো অপকর্ম নেই যে তারা করেনি। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নেই যে তারা দখল করেনি। সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিত, যেন আমরা এলাকা ছেড়ে চলে যাই। আবার মুখে অনেক ভালো ভালো কথা বলেছে। তদের জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি শ্রেণির মানুষ অতিষ্ঠ। এই সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বিএনপিকে এই আন্দোলনে পাশে থাকতে হবে। তার নির্দেশে আমরা এ আন্দোলনে মাঠে নেমেছি সমর্থন দিয়েছি। আমাদের কত নেতাকর্মীরা মারা গেছে, তবুও আমরা স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনি। আন্দোলনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা মাঠে ছিলাম। আর লুটপাট যারা করেছে এটা স্বৈরাচারের লোকজনেরাই করেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা এগুলো করেনি। এমন স্বৈরাচারের এমন পতন ইতিহাসে কেউ দেখেনি। শুধু পতন নয়, নেতাকর্মীদের ফেলে বোনকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এটা ইতিহাসে লেখা থাকবে। তিনি আরো বলেন, এ বিজয়ে এখনই খুশি হওয়ার সময় নেই। পতিত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করছে। কীভাবে তারা অরাজকতা তৈরি করে দেশে ফিরতে পারে। নেতা বিচক্ষণ, তিনি এটা উপলব্ধি করে তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছেন। আমাদের এই তিন দিন রাজপথে থাকতে হবে। স্বৈরাচারকে তাদের দলের নেতারা বানিয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী, সাংবাদিক তাদের সুবিধা নেয়ার জন্য এই স্বৈরাচারকে স্বৈরাচার বানিয়েছে। আমরা সবাইকে চিনি। এখন দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এদের বিরুদ্ধে এ সরকারকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা তাদের সমর্থন করবো, আঠারো কোটি মানুষ তাকে সমর্থন করবে।