অত্যাচারের প্রতিটি ঘটনার যেন বিচার হয় : এবি পার্টি
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, গত ১৬ বছরে হাজার হাজার গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, নির্বিচার জুলুম, নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করা হয়েছে। নির্লজ্জ দলীয়করণ করে প্রশাসনকে শোষণ ও দুর্নীতির আঁখড়া বানানো হয়েছে। লাখ লাখ মানুষকে তাদের পেশা ও ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারেনি বছরের পর বছর। নিজ গৃহ হতে উচ্ছেদ হয়ে দেশান্তরী হতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। অন্যায়ভাবে নিজের ভিটা, বাড়ি হারিয়েছেন অগণিত মানুষ। এর প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হতে হবে। জনগণ যেন বুঝতে পারে অন্যায়-অত্যাচার করে কেউ শেষ পর্যন্ত পার পায় না। গতকাল বুধবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও নির্যাতিত ছাত্র-জনতার স্মরণে আয়োজিত গণজমায়েত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় ও যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা: মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণজমায়েতে আরো বক্তব্য রাখেন- দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে মেজর মিনার বলেন, আমরা বছরের পর বছর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছি, দেশের ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। বিজয়ের আনন্দে শহীদ ও আহতদের ভুলে গেলে চলবে না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে যারা জীবন দিয়েছে, তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চালাতে হবে। অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, খুনি হাসিনা শুধু মানুষই হত্যা করেনি, সে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ বিভাগ, প্রশাসনসহ দেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা মানবতাবিরোধী ট্রাইবুনালে হাসিনার বিচারের কথা বলেছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই, এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে, আগে সেই বিতর্কের অবসান করুন, আইন সংশোধন করুন, অভিজ্ঞ প্রসিকিউশন টীম নিয়োগ দিন, মানসম্পন্ন বিচারক ও তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ দিয়ে বিচারের কার্যক্রম শুরু করুন। হাসিনার নিয়োগকৃত টীমের মাধ্যমে তার কোন বিচার হতে পারে না। ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, বাংলার ইতিহাসে রাজা লক্ষণ সেন রাজদরবার ফেলে পেছন দরজা দিয়ে পালিয়েছিল। নতুন করে সেই ইতিহাসই দেখাল নারী হিটলার, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এখন তার সকল সহোযোগিরাই পলাতক।