চাঁদপুরে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাাসনা সরকারের সময়কার সাবেক ক্ষমতাধর মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাই চাঁদপুরের সব কাজের কাজী হিসেবে যিনি কাজ করতেন সেই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুকে হুকুমের আসামিসহ ৫১০ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১২০০জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শহরের বাগাদী রোড হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা কালু হাওলাদারের ছেলে আ. রাজ্জাক হাওলাদার। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই রাত ৮টায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু এর প্রত্যক্ষ নির্দেশে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এর জেএম সেনগুপ্ত রোডের মনিরা ভবন নামে বাড়িতে ১ হাজার থেকে ১২শ’ লোক দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাঙচুর করে। পরে তারা ওই ভবনে আগুন দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মুহসীন আলম। তিনি বলেন, মামলাটি আজই এফআইআর ভুক্ত হয়েছে। মামলা নম্বর হচ্ছে (১১/২০২৪)। মামলায় এজহারভুক্ত নামীয় আসামি হলেন ৫১০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ জন। এ মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, চাঁদপুর-৩, আসনের সাবেক সাংসদ ডা. দীপু মনি, তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবীর সুমনের হুকুমে ও মদদে গেলো ১৮ জুলাই আনুমানিক সন্ধ্যা ৮ টায় তাদের শত শত নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সর্জ্জীত হয়ে শহরের মেথা রোডের মুনিরা ভবনে হামলা, মালামাল লুটপাট, ভাঙচুর ও ভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে। ওই মুনিরা ভবনের মালিক জেলা বিএনপি’র সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক তখন চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে ছিলেন। এখন সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। তাই ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে থানায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে দেখা গেছে, যাদের নাম মামলার তালিকায় উঠেছে এরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান ও সাবেক নেতা। এসব নামের অধিকাংশই চাঁদপুর পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার আওতাধীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর দায়িত্ব পালন করেছে। এদিকে মামলা প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী জেলা বিএনপি’র সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, আমি কখনো কারো সঙ্গে অমানবিক আচরণ করিনি। অথচ শুধুমাত্র রাজনীতির কারণে প্রতিহিংসা বশবতি হয়ে আমার বাড়ির ওপর এই অঘটনটি দেখতে হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, ন্যায়, সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার প্রয়োজনে এবং স্বার্থে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার প্রত্যাশা ও কামনা করছি।