জাতীয় শিক্ষা সংস্কার ফোরাম

শিক্ষা ক্ষেত্রে সব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষা ক্ষেত্রে সব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে জাতীয় শিক্ষা সংস্কার ফোরাম। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে ৭ দফা দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হল- ১. অবিলম্বে কারিকুলাম-২০২১ সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ হিসাবে পূর্ববর্তী কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফিরে যেতে হবে। ২. প্রাথমিক স্তরে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক এখনো প্রণীত হয়নি, তাই সেগুলো ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের সাথে ধারাবাহিকতা রেখে শিক্ষানীতিতে উল্লেখিত সক্রিয় শিখন পদ্ধতি অনুযায়ী নির্মাণ করতে হবে, অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন পদ্ধতি অনুযায়ী নয়। ৩. যেহেতু শিক্ষাবর্ষের অর্ধেকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তাই ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণিতে বর্তমান কারিকুলাম অনুযায়ী প্রণীত পাঠ্যপুস্তকগুলোই ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার কথা চিন্তা করে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ববর্তী কারিকুলামের পাঠ্যপুস্তকগুলো এ মাসের মধ্যে (আগষ্ট ২০২৪) মুদ্রণ করে তাদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে। ৪. বিগত কারিকুলাম অনুযায়ী প্রণীত মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যপুস্তক অবিলম্বে এনসিটিবি’র ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। কোনো স্কুল-কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সাথে আলাপের ভিত্তিতে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির পুরোনো পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করতে চাইলে, কিংবা নতুন কারিকুলামের পাঠ্যপুস্তক পাঠদান ও মূল্যায়ন বিষয়ে তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে বাধা দেয়া যাবে না। ৫. নতুন শিক্ষানীতি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো কারিকুলাম প্রণয়ন করা যাবে না এবং পরিমার্জনা ব্যতীত নতুন করে কোনো পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা যাবে না। ৬. ৫ম শ্রেণি ও ৮ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু করতে হবে এবং বৃত্তির পরিমাণ স্কুল বেতনের সাথে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করতে হবে। ৭. কারিকুলাম বাতিল আন্দোলনে যাদের উপর মিথ্যে মামলা দেয়া হয়েছে সেগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং যারা আমাদের সন্তানের শিক্ষাজীবন ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উপর জুলুম করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- সচেতন অভিভাবক সমাজ, বাংলাদেশের আহ্বায়ক আইনজীবী মো. আবু মুসলিম বিন হাই, সদস্য সচিব মো. সেলিম, অভিভাবক সীমা দত্ত, জাতীয় শিক্ষা সংস্কার ফোরামের সমন্বয়ক মো. হাবীব প্রমুখ।