কক্সবাজারে পুলিশ অসন্তোষ

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

গত ১৮ আগস্ট দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রিন্টিং ভার্সনে ‘কক্সবাজারে পুলিশের অসন্তোষ নেপথ্যে সিন্ডিকেট’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু সংবাদটিতে কিছু অংশ প্রকাশিত হয়নি। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বাদপড়া অংশটি নিচে তুলে ধরা হলো। অন্যদিকে সিন্ডিকেট বলয়ের বাহিরের লোক হওয়ায় থানায় ওসি হিসাবে কর্মকালীন সম্পন্ন করা পুলিশ পরিদর্শককে ফাঁড়িতে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। যোগ্যতাসম্পন্ন পুলিশ পরিদর্শক থাকার পরও ১২ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান এলাকা উখিয়া থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসাবে পদায়ন করা হয়েছে একজন ‘প্রমোটেট’ পরিদর্শককে। উখিয়ায় রোহিঙ্গার কারণে এনজিও, আইএনজিও ‘র লোকজন ছাড়াও উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছে। উখিয়া থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ’র আচরণ নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ।

অন্যদিকে এসপির আশকারায় বেপরোয়া কক্সবাজার সদর কোর্টের জিআরও আনিসুর রহমান। তার বিরুদ্ধে মামলার নথি বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসপির কাছের লোক হওয়ায় একবার সাক্ষী দিতে গেলে অফিসিয়াল ছুটি ছাড়া অনেকদিন অনুপস্থিত থাকেন তিনি। অনেকটা কোর্ট পুলিশের অন্য সিনিয়রাও তার কাছে জিম্মি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পুলিশ সুপার অনেকটা ধর্মবিদ্বেষী। জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় কোরআন তেলায়াতও বন্ধ করে দিয়েছে। নামাজ-রোজা রাখে এ রকম লোকজনকে কটাক্ষ করে কথা বলেন।

অভিযোগ উঠেছে, কক্সবাজার পুলিশ লাইন্সের খাবারের মান খুবই বাজে। বেশিরভাগই পুলিশ সদস্যের মাঝে এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল। বিষয়টি পুলিশ সুপার বরাবরে একাধিকবার নজরে আনলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিবেদকের পরিচয় নিশ্চিত করে এসএমএস করলেও কোন সাড়া দেয়নি। অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারে চার বছর সুনামের সাথে চাকরি করেছি। নানা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনার (প্রতিবেদকের) উল্লেখিত বিষয়গুলো কানা এসেছে। তবে যাওয়ার আগে সামনে আসা প্রশ্নগুলো নিয়ে বিব্রত। আমার দাবি থাকবে বিষয়গুলো অনুসন্ধান করেন। ক্লু লাগলে দিব।

পুলিশ পরিদর্শক এসএম শাকিল হাসানের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আশকারা দেয়ার কিছুই নেই। তবে যাওয়ার আগেই শুনছি, সে বেপরোয়া ছিল। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, তাকে রাঙামাটি বদলি করার অর্ডারটি দেখেছি। যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম ‘সংবাদে উপস্থাপিত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি নানা যুক্তি উপস্থাপন করে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন।