১৭ বছর পর খুলে দেয়া হলো খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক হিসাব

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিনিধি

ক্ষমতার পালাবদলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক হিসাব খুলে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা শাখা (সিআইসি) থেকে গত সোমবার বিকালে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়। সিআইসি মহাপরিচালক মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, সব অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরামর্শের পর এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের তরফে এ নির্দেশনা আসে। আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। পরে শেখ হাসিনার ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়া হলেও খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব বন্ধই ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব খুলে দিতে বহুবার এনবিআরে আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু লাভ হয়নি। কর কর্মকর্তারা বলছেন, আয়কর অধ্যাদেশের ১১৬এ ধারা অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যাংক হিসাব বন্ধ অবস্থায় ছিল। পুরোনো সে আইনে এক বছর পর আদেশের কার্যকারিতা বাতিল হওয়ার কথা থাকলেও ব্যাংকগুলো হিসাব অবমুক্ত না করায় সোমবার সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়। এবার গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর দুর্নীতি মামলার সাজা থেকেও পুরোপুরি মুক্তি মিলেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর কিছুদিন জেলে থেকে পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পেয়েছিলেন খালেদা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করলে গত ৬ আগস্ট মুক্তি মেলে তার। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরো সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনো পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন। বিএনপি বরাবরই বলে আসছে, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবে ‘মিথ্যা’ মামলায় তাদের নেত্রীকে কারাবন্দি করা হয়েছে তাকে রাজনীতি থেকে বিদায় করার জন্য।