নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এএইচ এম ইব্রাহীমসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগের ৩৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০০ হাজার থেকে ২৫০০ জনকে। গত সোমবার সকালে নোয়াখালী-৬নং আমলী আদালত (সোনাইমুড়ী) ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের আদালতে সোনাইমুড়ী থানায় গুলিতে নিহত আসিফের বাবা মো. মোরশেদ আলম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। নোয়াখালীর জজকোর্ট ইন্সপেক্টর শাহ আলম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে এ ঘটনায় এফআইয়ার গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর ছাত্র-জনতা ও জনসাধারণ আনন্দ মিছিল করতে যায়। ওই সময় মামলার ১-৩নং আসামি সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচএম ইব্রাহীম ও সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকেরের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় চরজব্বর, সুধারাম, বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে ওই মিছিলে ২০-২৫টি ট্রাক যোগে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, পেট্রোল বোমাসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে মিছিলে হামলা করা হয়। তাৎক্ষণিক উপস্থিত জনতা প্রাণ ভয়ে সোনাইমুড়ী থানায় আশ্রয় নেয়। একপর্যায়ে আসামিরা থানায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে মিছিলে থাকা আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এ ছাড়া ৫ আগস্টের একই ঘটনায় সোনাইমুড়ী উপজেলার তানভির হোসন মাহমুদ (২৫) মো. ইয়াছিন (১৫) মো. হাছান (১৪) ও মো. ইয়াছিন (৩০) ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।