সরকারের পালাবদলকে পুঁজি করে সাবেক সেনা কর্মকর্তার পরিচয়ে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে ‘হোয়াইট বীচ’ নামক আবাসিক হোটেল দখলের অভিযোগ উঠেছে। শুধু দখল নয়, ভাঙচুর করা হয়েছে হোটেলের বিভিন্ন অংশে। এমনকি দখলেন পর হোটেলটির নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট প্রথম দফায় দখল চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে ১৭ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী ব্যবহার করে হোটেল জবরদখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই হোটেলের মালিক মরহুম সাহাব উদ্দীন চৌধুরীর স্ত্রী শাহনুর বেগম। গত সোমবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেছেন, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ক্ষমতার পটপরিবর্তনকে পুঁজি করে শাহাদাত বখত ইয়াছিন, আশরাফুল ইসলামসহ কিছু ভাড়াটে লোক দিয়ে তাদের হোটেলটি জবরদখল করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে বয়োবৃদ্ধ শাহনুর বেগম বলেন, দখলদাররা আমিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপকভাবে মারধর করেছেন। পরে রাতারাতি নাম পরিবর্তন করে হোটেল মারমেইড নাম দিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে। এখন নানাভাবে হুমকিধমকি দিচ্ছে। বর্তমানে হোটেলে সন্ত্রাসীদের অবস্থান রয়েছে। ভুক্তভোগী শাহনুর বেগম জানান, ১৯৮০ সালে লিজমূলে আমার স্বামী হোটেলের জমির মালিক। ৯৪ সালে মরহুম সাহাব উদ্দীন চৌধুরী আমমোক্তারনামামূলে সেনা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলকে ওই হোটেলের দেখভাল ও উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা লেনদেনসহ নানা শর্ত ভঙ্গ করায় ২০০২ সালের ১২ জুন আমমোক্তারনামা বাতিল করা হয়। যার নং ৭৯৪। এরপর আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ইব্রাহিম চৌধুরী। যার অপর মামলা নং ৮১/২০০২ (সদর)-১৮৪/২০০২। কাগজপত্র ও সাক্ষীতে ইব্রাহিমের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হওয়ায় ২০০৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তার মামলা খারিজ করে দেন আদালত।