ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দাবিতে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভণ্ডসমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে রাজুতে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; ভারতীয় আধিপত্যবাদ ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; দাদাদের আগ্রাসন ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; ভারতীয় দাদাগিরি ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও ইত্যাদি স্লোগান দেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সগীর বিনতে ইসমাইল বলেন, বড়ই আফসোসের সঙ্গে বলতে হয় এই পানি কোনো প্রাকৃতিক বন্যার পানি নয়। এই পানি দিল্লির গুটি চলা রাজনৈতিক পানি। তার প্রমাণ একটু আগে আমরা দেখতে পেয়েছি। এক নিউজে তারা বলেছে, ভারত পানি ছাড়লো আর সেই পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলাদেশ। এটা রাজনৈতিক, ইচ্ছা প্রণোদিত বন্যা। তিনি বলেন, ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে সেভেন সিস্টার্স গুঁড়িয়ে দেব। ভারত যেভাবে আমাদের ওপর হাসিনার মাধ্যমে আগ্রাসী ভূমিকা চালিয়েছিল তা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি কিন্তু তারা খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে নানা ধরনের ক্যু চালাচ্ছে এবং এই রাজনৈতিক বন্যা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক এবি জুবায়ের বলেন, ভারত বাঁধ কেন দিলো। তারা এটা করতে পেরেছে খুনি হাসিনার ভারত ঘেঁষা নীতির কারণে। এখন বাংলাদেশের মানুষ এই খুনি হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। এখন আমরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে ভারতকে লাল কার্ড দেখাচ্ছি।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ এবং এই স্বাধীন দেশের প্রতি কারো চোখ তুলে তাকানোর সুযোগ নেই। ভারত শুকনো মৌসুমে পানি আটকে রাখে তখন আমরা পানি পাই না; কিন্তু যখন চারিদিকে পানি তখন তারা সকল বাঁধ খুলে দেয়। আমরা ভারতের বন্ধুত্ব চাই, প্রভুত্ব নয়। অবিলম্বে ভারতের দ্বিমুখী নীতি বন্ধ করতে হবে। যদি এই নীতি বন্ধ করা না হয় তাহলে প্রস্তুত থাকেন, বাংলার ছাত্র সমাজ কাউকে ছাড় দেবে না।