৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সমাধান চান তারা

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ দফা দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর কাছে স্মাকরলিপি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ স্মারকলিপি জমা দেন অ্যাডভোকেট নুরতাজ আরা ঐশী ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের এর সন্তান বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম। এছাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কলমিলতা বাজার সংক্রান্ত ৫৩ বছরের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রদানের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। গত বুুধবার এ আবেদন করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে ঘোষিত ৮ দফা দাবিগুলো হলো- ১. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ স্বৈরাচারী সরকারের সকল দোসরদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে। ২. হাসিনার জুলুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থানাভিত্তিক তালিকা করে টপটেন ঘটনাকে ৪৫ দিনের মধ্যে সমাধান করতে হবে। ৩. ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প ও কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝুলিয়ে রাখা দাবির বিষয়টির উপর পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সমাধান করতে হবে। ৪. সরকারি টাকা ছাড়াই সাধারণ বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এনএসপিডিএল’র গৃহীত পুনর্বাসন প্রকল্পসহ অনুরূপ ১০০টি প্রকল্প জরুরিভিত্তিতে চালু করতে হবে। ৫. ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা করে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়ে প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে হবে। ৬. ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৭. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের আগে এক-শতাংশ ভোটারদের সমর্থন নেয়ার যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করতে হবে এবং ৮. হাসিনা কর্তৃক নির্যাতনের বিষয়গুলো জাতীয়ভাবে প্রচার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইমেজ বিল্ডিং করার আহ্বান।