ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রংপুরে ফল বিক্রেতা নিহতের ঘটনা

শেখ হাসিনা-কাদের ১৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

শেখ হাসিনা-কাদের ১৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ফল বিক্রেতা স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন নিহত মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোছাৎ নাজমীম ইসলাম।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়। গত রোববার বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা আবেদন করেন তিনি। মামলাটি গ্রহণ করে বিচারক রাজু আহমেদ রাজু মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানাকে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন সামনে ফুট ওভার ব্রিজের নিচে কলার দোকানের কর্মচারী মেরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোছাৎ নাজমীম ইসলাম ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও রংপুর জেলা পুলিশ সদস্য ও অন্যান্য ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। নামীয় আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান, সাবেক রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার উৎপল কুমার পাল, সহকারী কমিশনার আল ইমরান, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান আরিফ, রসিকের ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল আলম, ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন, ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশীদ, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষিণ চন্দ্র দাস, যুবলীগ নেতা ন্যাংড়া মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা নবিউল্লাহ পান্না, যুবলীগ নেতা ডিজেল, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহাজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান, আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক আতাউর রহমান ও আব্দুর রশীদ প্রামানিক।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট একই আদালতে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেন নিহত মেরাজুল ইসলামের মা আম্বিয়া খাতুন। সেই মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত