ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজারে জনতার উত্তাল ঢেউ

কক্সবাজারে জনতার উত্তাল ঢেউ

কক্সবাজারের প্রাণপুরুষ সালাহউদ্দিন আহমদ কক্সবাজার এসেছেন। তার এই আগমনকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস ও জনতার উত্তাল ঢেউ দেখে এক নেটিজেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আজ আমাদের শহরের বিয়ে’! ওই নেটিজেনের কথাটি মনে দাগ কাটলেও সেই কথা দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের কক্সবাজার আগমনের এই উচ্ছ্বাসকে কখনোই সঠিকভাবে বুঝানো সম্ভব নয়। বিয়ের মতো আয়োজন হলেও তা ছিল অনন্য এক আয়োজন। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল, পথে পথে শত শত তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুনে ভরা ছিল মহাসড়ক, সড়কের অলিগলি। যেখানে লেখা ছিল একজন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ সালাহউদ্দিনকে ফিরে পাওয়ার উচ্ছ্বাস আর আবেগে ভরপুর নানা স্তুতি বাক্য। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার শহর, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, চকরিয়ার বাস টার্মিনাল আর পেকুয়ার চৌমুহনীর (শহীদ ওয়াসিম চত্বর) গণসংবর্ধনা পর্যন্ত ছিল কেবল মানুষ আর মানুষ। এরা কেবল বিএনপির রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছিলেন না, এদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ, যারা বছরের পর বছর ধরে তাদের প্রিয় নেতা ও অভিভাবক সালাহউদ্দিন আহমদের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনেছেন। কত মানুষ এসেছিলেন সালাহউদ্দিন আহমদকে স্বাগত জানাতে রাজপথে? এমন প্রশ্ন যদি কেউ করেন- তার জন্য উত্তর হলো কারা বাড়িতে বসেছিলেন রাজপথে না এসে! আসলে ঘরের সব পুরুষ মানুষই ছিলেন রাজপথে, সালাহউদ্দিন আহমদকে এক নজর দেখতে।

১০ বছর ২ মাস ১৪ দিন পর গতকাল বুধবার কক্সবাজারে পা রেখেছেন এই জনপদের মানুষ সালাহউদ্দিন আহমদ, যাকে জনতা আদর করে ডাকছেন ‘বাঘ’ বলে। গণসংবর্ধনায় স্লোগান উঠেছে, কে এসেছে, কে এসেছে? বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে! দেশের বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাজনীতি করা এই দেশের ‘গুম বাহিনী’র হাতে গুম হয়ে দুই মাস একদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হয়েছিলেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে। তারপর কেটে গেছে অনেককাল। নিজের ‘মায়ের দেশ’ কক্সবাজার থেকে ফিরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ‘গুম’ হওয়ার পর এই প্রথম তিনি নিজের বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন। আর কক্সবাজারের মানুষও তাদের প্রিয় নেতাকে উজাড় করে ভালোবাসা দিয়েছেন। তিনি বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে বেসরকারি একটি উড়োজাহাজ নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার অবতরণ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত