বিতর্কিত ও আলোচিত এস আলম গ্রুপের একটি গাড়িতে চড়ে সংবর্ধনা নেয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি এটাকে ‘অসাবধানতা ও অনিচ্ছাকৃত’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গতকাল সোমবার গুলশানে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পুরো ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘গাড়িসংক্রান্ত যে সংবাদটা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জনমনে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। তারপরেও একটি পুরাতন গাড়ি, সে আমার ছোট ভাই, নিয়ে গেছে, সে খুব আনন্দিত যে, আমি তার গাড়িতে আমি উঠেছি। এটা আমার পক্ষ থেকে যদি জানতাম যে, ওই কোম্পানির গাড়ি তাহলে হয়তো আমি সাবধানতা অবলম্বন করতাম।’ বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারপরেও আমার এই অসাবধানতা এবং এই ইচ্ছাকৃত ভুলের জন্য যদি আমি দেশবাসীর মনে কষ্ট দিয়ে থাকি এবং অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকি, সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ ঘটনার পূর্বাপর তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘গতকালকে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, আমি দীর্ঘ ১০ বছর পর আমার নিজ জেলা কক্সবাজারে অবতরণ করলে, সেখানে আমার দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আমি একটি গাড়ি ব্যবহার করেছি, যে গাড়ি একটি কোম্পানির, যা সংবাদে লেখা হয়েছে এস আলম কোম্পানির। আমি কোন গাড়িতে উঠেছি, সেটা আমি নিজেও জানতাম না। এটা সেই দিন কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামার পরে কিছু গাড়ি দেখেছি ভেতরে। তা আমাদের নেতাকর্মীরা বলল যে, এটাতে উঠেন। এই গাড়িতে আমি উঠেছি। তা এখন সেই গাড়িটি কার সেই মুহূর্তে আমি চিন্তা-ভাবনার মধ্যে ছিলাম না। আমি তখন অনেকটা আবেগাপ্লুত ছিলাম, আমার দেশবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছিলাম এবং মনের মধ্যে মা-বাবার কবর জিয়ারতের বাসনায় মগ্ন ছিলাম। তখন আমার মনের অবস্থা ছিল না যে, আমি কোন গাড়িতে, কার গাড়িতে উঠছি।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সংবাদটি (গণমাধ্যম) প্রকাশ হওয়ার পরে আমি খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করলাম। আমি জানতে পারলাম এই গাড়িটি আমার এলাকার এক ছোট ভাইয়ের, যে উক্ত কোম্পানিতে বিভিন্ন জমি-জমা দেখাশোনার কাজ করে এবং কোম্পানি থেকে তাকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবহারের জন্য এই গাড়িটি দেয়া হয়। সেও অন্য সকলের মতো আমাকে বরণের জন্য এয়ারপোর্টে গেছে। তার গাড়িতে করেই গেছে। সেও জানতো না যে, আমি তার গাড়িতে উঠব। আমিও জানতাম না যে, আমি কার গাড়িতে উঠব। এটা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঠিক করেছেন।’