সাবেক মন্ত্রী শাহজাহানের ক্ষমতায় দুর্নীতিবাজ এনজিও কর্তা প্রভাব দেখাতেন

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানকে গত শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাদারীপুরের ডন খ্যাত স্বৈরাচারী সরকারের প্রভাবশালী এই নেতার আপনজন পরিচয় দিতেন একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল আমান।

আমান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানো বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআর) সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে উখিয়া অফিসে কর্মরত। চার বছর ধরে চাকরিকালীন সময়ে আমানের দাপটে অসহায়ত্ব বরণ করতে হয়েছে সংস্থাটিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, একই সাথে হেনস্তা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্থানীয়রাও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফ্রেন্ডশিপের এক কর্মী বলেন, ‘শাহজাহান খানের রেফারেন্সে আমি এখানে চাকরি করতে এসেছি, উনি আমার পারিবারিক অভিভাবক- এভাবে দম্ভোক্তির মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দীর্ঘদিন আমাদের জিম্মি করে রেখেছে আমান।’ প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতার আস্থাভাজন হওয়ায় উখিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে আমান সখ্যতা রেখে চালাতেন দুর্নীতির মলাটে মোড়ানো তার যত অপকর্ম। নিয়োগ বাণিজ্য, ক্যাম্প কেন্দ্রিক ঠিকাদারি পাইয়ে দিয়ে ঘুষ আদায়সহ নানা অপরাধে জড়িত থাকা আমানের অপতৎপরতা জেনেও রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ থাকেন তার সংস্থার ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত তার উচ্চপদস্থ কর্তা নুরুল্লাহ মামুন চৌধুরী (সংস্থার পরিচালক, এইচআর)। ১৩ জন স্থানীয় চাকরিজীবীকে জোরপূর্বক ছাঁটাইয়ের নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন আমান, সখ্যতা থাকার সুবাধে এক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার পছন্দের অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিশ্চিত করে তিনি পেয়েছেন মোটা অংকের ঘুষ। ভুক্তভোগী ফ্রেন্ডশিপের সাবেক স্থানীয় এক কর্মী বলেন, ‘আমানের কারণে আমার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গেছে। উখিয়ার স্থানীয় হওয়ায় তার ষড়যন্ত্রে ফ্রেন্ডশিপ থেকে আমিসহ ১৩ জনকে বাদ দেয়া হয়।’ এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে আমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার।