গোলকেরহাট পাঞ্জুবেরনেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ চান ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মিরসরাই প্রতিনিধি

শ্রেণিকক্ষে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় চুপ থাকা, স্কুল ভবনে বন্যাকবলিত মানুষদের আশ্রয় না দেয়া এবং নানা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ চেয়েছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। উপজেলার ধুম ইউনিয়নের গোলকেরহাট পাঞ্জুবেরনেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোমেনা আক্তার ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ল্যাব) জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেয়া একটি লিখিত অভিযোগে এমনটি দাবি করেছেন তারা। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেয়া ওই অভিযোগে দাবি করা হয়, গত ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সময়ে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে সহকারী শিক্ষক জয়নাল এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনা তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ওই শিক্ষকের নিকৃষ্ট ঘটনাটি আড়ালের চেষ্টা চালান। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জয়নালকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ভুক্তভোগী পরিবার তার বিরুদ্ধে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। অভিভাবক মো. মামুন, আব্দুল মান্নান ও মো. সাদেক হোসেন অভিযোগ করেন, স্কুলের অভ্যন্তরে এত নিকৃষ্ট একটি ঘটনার পরও প্রধান শিক্ষক রোমেনা আক্তার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অভিভাবকদের হুমকি-ধমকি দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করার পরও প্রধান শিক্ষক ওই সহকারী শিক্ষককে বাঁচাতে নানা চেষ্টা-তদবির করছেন। মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্তের পর শিক্ষা বোর্ড শিক্ষা প্রশাসনের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ গতকাল সোমবার এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে গোলকেরহাট পাঞ্জুবেরনেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোমেনা আক্তারকে এ প্রতিবেদক ফোন দিলে তিনি বেশ অসুস্থ দাবি করে বলেন, ‘ভাই আমি বেশ অসুস্থ এ বিষয়ে আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেয়া অভিযোগ সম্পর্কেও তিনি অসুস্থ থাকার কথা বলে কোনো বক্তব্য দেননি।