চাঁদপুর মডেল থানায় ছাত্রদের হট্টগোল
শতাধিক ব্যক্তির নামে মামলা
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর শহরের আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়ে ফাতেমাকে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ ছাত্রদের থানায় হামলা এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ১০ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৮০-১০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে থানায় মামলাটি দায়ের করেন হামলা ও মারধরের শিকার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল সামাদ। মামলার আসামিরা হলেন-শহরের কোড়ালিয়া রোডের হারুন ছৈয়ালের মেয়ে ফাতেমা আক্তার, তার মা মাসুমা বেগম, একই এলাকার তাহসিন হোসেন, আল-আমিন, ট্রাক রোডের মো. রাকিব ভূঁইয়া, আরফিন আলিফ, মো. সাফায়াত, সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম, রিফাত ও মো. আরাফাত। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়েকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তদন্তের জন্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামাদ ও সঙ্গীয় ফোর্স কোড়ালিয়া রোডে যান। সেখানে গিয়ে আসামি ফাতেমা পক্ষের উশৃঙ্খল ছাত্রদের নিয়ে বিবাদী পক্ষের লোকদের সাথে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনা শান্ত করে থানায় চলে আসে। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর ফাতেমা উশৃঙ্খল ছাত্রদের নিয়ে থানায় আসে। তাদের বুঝিয়ে ওসি বিদায় করে। এরপর পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে ছাত্রদের ফাতেমা ও তার মা পুলিশের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে উস্কানি দেয়। তখন ওই ছাত্ররা তাদের পক্ষ হয়ে থানায় প্রবেশ করে কর্মকর্তাসহ সবার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এক পর্যায়ে তারা এসআই সামাদের ম্যাচের খাবার ঘরে গিয়ে ছাত্ররা তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করে। এ ঘটনায় থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এমন পরিস্থিতি দেখে ওই সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকেও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল বুধবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়। চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।