পর্যটন শহর কক্সবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেছেন, কক্সবাজারে অতিরঞ্জিত পুলিশিং চলবে না। যে পুলিশ মানুষকে হয়রানি করবে আমি তাকে চরম হয়রানি করবো। পেশাদারিত্বের সাথে প্রকৃত সেবক হয়ে জনগণের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু করবে পুলিশ। মানুষকে হয়রানি না করে আস্থার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে এই বাহিনীর। গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে কক্সবাজার প্রেসক্লাবসহ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতে তিনি শহীদদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। পুলিশ-সাংবাদিকদের এভাবেই কাজ করতে হবে, যাতে আয়নায় উভয়ের মুখ ঝলঝল করে। তিনি বলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয় এবং থানাগুলো থাকবে দালাল ও প্রভাবমুক্ত। তথ্যপ্রবাহ সবার জন্য থাকবে অবারিত।
এসময় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, শামসুল হক শারেক, মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, এইচএম এরশার, হাসানুর রশীদ, সাইফুর রহিম শাহীন, আমানুল হক বাবুল, মোস্তফা সরওয়ার। এসময় আরো ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান। সাংবাদিকরা বলেন, বিগত ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় কক্সবাজারে যারা মিছিলে গুলি করেছিল, সন্ত্রাস করেছিল সেই দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা, দ্রুত থানাগুলোকে কার্যকর করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ও পর্যটকসহ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ টহল জোরদার করার উপর জোর দেন।