ভারি বর্ষণের কারণে আগামী ৩ দিনে চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীগুলোর পানির স্তর বাড়তে পারে। এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বাড়ছে ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি। অন্যদিকে নামছে গোমতী নদীর পানির স্তর। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি আস্তে আস্তে কমছে। আগামী ৫ দিন ধরে কমতে থাকে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে।
অন্যদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির স্তরও নামছে যা আগামী তিন দিন ধরে চলবে। আগামী দুই দিন পানির স্তর স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তবে বিপৎসীমার নিচেই থাকবে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানিও ধীর গতিতে কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এসব নদ-নদীর পানির স্তর কমে যাওয়াও সম্ভাবনা রয়েছে।
সুরমা ও কুশিয়ারার পানি সিলেট বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদী মনু, সারিগাইন, ধলাই, খোয়াই ইত্যাদি পানি কমে যাচ্ছে। আগামী দুই দিনে সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল থাকলেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আবহাওয়া কর্মকর্তাদের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আগামী তিন দিনে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে।