নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নাজিমুদ্দিন ভূঁইয়া কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ প্রধান বলেন, ৫ তারিখের পরে গায়বীভাবে কিছু সমন্বয়ক তৈরি হয়েছে সোনারগাঁয়। আবার তারা আওয়ামী লীগের দোষর হয়ে তারা অপকর্ম করতে চায়। তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যাগ লাগিয়ে আর স্বৈরাচার করতে দেয়া হবে না। সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগের কোনো মামতো ভাইকে সমন্বয়ক পদে আনা যাবে না। সে ছাত্রলীগের সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ছবি তুলে বলে ছবিতো তোলাই যেতে পারে। আপনি যে ছাত্রলীগের দোষর, আওয়ামী লীগের দোষর সোনারগাঁয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জেনে গেছে। ছাত্রলীগের দোষররা যদি ভাবে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ট্যাগ লাগিয়ে আসে তাহলে ভুল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সংলগ্ন সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অপকর্মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে এসব কথা বলেন। বক্তব্যে আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর যখন দেশ স্বাধীন হলো তখন সোনারগাঁয়ে কিছু বড় ভাইয়ের আগমন হলো। আমি তোমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই কিন্তু তুমি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টেট একজন নেতা তা আমরা জানতে পেরেছি। তুমিও তোমার সাঙ্গপাঙ্গরা আওয়ামী লীগের দোষর, তোমরা কায়সার হাসনাতের সাঙ্গোপাঙ্গ। আড়াইহাজারের বাবুর সঙ্গে দেখি তোমার ছবি। নৌকা মার্কার ভোট চাওয়া ছবি। তুমি বলো তুমি সাধারণ শিক্ষার্থী। যদি তোমাকে সাধারণ শিক্ষার্থীর নাম ভাঙিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে দেখি। সেদিন তোমাদের প্রতিহত করা হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে আরেক শিক্ষার্থী মোবাশ্বির হোসাইন বলেন, নতুন প্রত্যাশা নিয়ে সুন্দর ও সুশীল সোনারগাঁ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্ররা সাধারণ মানুষের পাশে আছে। সোনারগাঁয়ে যেনো দ্বিতীয় স্বৈরাচার তৈরি না হয় সে বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি। নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারকম কলেজের শিক্ষার্থী রকিবুল ইসলাম হিমেলের সঞ্চালনায় এবং একই কলেজের শিক্ষার্থী মোমেন হাসান প্রান্তর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, হাসিবা হাসনাত সামিয়া, মোহাম্মদ মুরাদ মাহফিজ, ফয়সাল হোসেন, জহিরুল ইসলাম ইমন, সিফাত, মহিবুল্লা ও ইব্রাহিম খলিলসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে অবসান হয়েছে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামল। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি বাস্তবায়ন করতে প্রাণ হারায় বহু ছাত্র-জনতা।