ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেশ বাঁচাতে হলে পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে হবে

বললেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
দেশ বাঁচাতে হলে পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে হবে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স মাত্র ১ মাস। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা আমাদের দিক থেকে যা যা করার দরকার সবই করব। কিন্তু এই দেশকে বাঁচাতে হবে। আর দেশকে বাঁচাতে হলে পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে হবে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে ‘আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদা আখতার বলেন, মালিক শব্দটা আমার কানে খুব বাজছে। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ-এখানে মালিক আসে কোত্থেকে। যখন মালিক শ্রমিক শব্দটা ব্যবহার করা হয়, যেন শ্রমিকের মালিক তারা। শ্রমিকের শ্রমের মালিক শ্রমিক। সেটা তাদের একেবারে সার্বভৌম অধিকার। আপানারা যে ইনভেস্ট করেছেন, যা করেছেন, যে ব্যবস্থা করেছেন, তার ব্যাপারে আপনাদের দায়িত্ব। এটা শ্রমনির্ভর একটা ইন্ডাস্ট্রি এক্সক্লুসিভলি। ইন্টারন্যাশনালি সেটা পরিচিত। বিশেষ করে এই কারণে যে, এটা নারীশ্রমিক নির্ভর। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম হয়ে গেছে। বাংলাদেশকে অন্য কারণে না চিনলেও ওরা (বিদেশিরা) তাদের টি-শার্টের পেছনে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখাটাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। আমরা এই জায়গাটা করতে পেরেছি। এর জন্য আমি আপনাদের- বিজিএমইএ এবং শ্রমিকদের সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ ফরেন এক্সচেঞ্জ আর্নিংয়ে এই ভূমিকাটা আপনারা যৌথভাবে রেখেছেন। সেটা কেউ নিতে পারবে না। তিনি বলেন, কেন এখানে পরস্পরবিরোধী অবস্থান থাকবে, কেন ম্যানুফ্যাকচারারা বলবে যে কারখানা বন্ধ করে দেব। শ্রমিকরা কেন এসে দেখবে কারখানা বন্ধ। আবার শ্রমিকরাও ভাঙচুর করবে, নিশ্চয়ই আপনারা এটা চান না।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা বলেন, আমি একটু আগে জানতে পেরেছি বড় বড় কারখানার শ্রমিকরা নাকি নেমে (আন্দোলনে) পড়েছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা হওয়া উচিত না। আমার মনে হয় এটা খুব জরুরি, আমাদের পরস্পরের প্রতি দায়িত্বটা নিতে হবে। এই সেক্টরকে রক্ষা করা আমাদের দেশপ্রেমেরই অংশ হওয়া উচিত। আমরা যদি নিজের দেশকেও ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি, তাহলে আমাদের এই সেক্টরকে রক্ষা করতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। ফরিদা আখতার আরো বলেন, এটা কিন্তু একটা ইন্টারন্যাশনাল ইস্যু। যেমন আগামীতে জিএসপি এবং অন্যান্য বিষয় যখন আসবে তখন বাংলাদেশের শ্রমিকদের ওপর মারপিট চলছে, শ্রমিকদের মারা হচ্ছে বা শ্রমিকরা অসন্তোষ হচ্ছে এই বিষয়গুলো হেডলাইন হয়ে যায়। আমরা কী কেউ চাই এই কারখানা বা অর্ডারগুলো অন্য দেশে চলে যাক? অন্য দেশগুলো তো নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কাজেই কোনও অবস্থাতেই আমরা যেন এটা হতে না দেই। আমাদের শ্রমিকদের যে শক্তি আছে, সেই শক্তিটাকে ব্যবহার করি। উপস্থিত উদ্যোক্তা ও শ্রমিকপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা পক্ষ-বিপক্ষ হবেন না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত