ঘের মালিককে দুই দফা হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরের সীমান্তবর্তী মহাদেবপুর-সেনপুর বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা এক ক্ষুদ্র ঘের মালিককে দুই দফা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর মহাদেবপুর গ্রামের কামাল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে বিজ্ঞ আমলি আদালতে মামলাটি করেছেন। যার নং-২৭৭৮৪/২৪। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সাল থেকে উপজেলার মহাদেবপুর-সেনপুর বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিলে কোনো ফসল আবাদ হতো না। এসময় উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের মৃত নজর আলী শেখের ছেলে ক্ষুদ্র ঘের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন প্রশাসনের সহযোগিতায় নিজ অর্থে বিলের অবৈধ মাছের ঘের উচ্ছেদ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে আবারো বিলের ৩ হাজার বিঘা জমিতে ফসল আবাদ শুরু হয়। বিলে তার ছোট ছোট ৩টি টপঘের রয়েছে। তিনি ঋণ নিয়ে ঘেরের মাছ লালন-পালন করেন। চলতি বর্ষায় বৃষ্টিতে তার ঘের ভেসে মাছ বেরিয়ে যায়। এসময় মাছ আটকাতে তিনি কেশবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রাস্তার কালভার্টের মুখে পাটা দিয়ে রাখেন। এরপর থেকে ভেসে যাওয়া মাছ শিকার করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। গত ১৬ আগস্ট গভীর রাতে কেশবপুরের মোমিনপুর গ্রামের জামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫-৬ জন মাছ শিকারি তার ঘেরের ভেসে যাওয়া মাছ আলোর ফাঁদ দিয়ে শিকার করতে যায়। কামাল হোসেন বাধা দিলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে মারধর করে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে কামাল হোসেনের সাথে তাদের বিরোধ শুরু হয়। এরই জের ধরে, ৪ সেপ্টেম্বর জামাল হোসেনের নেতৃত্বে সব আসামি আবারো পূর্বপরিকল্পিতভাবে মহাদেবপুর-সেনপুর বিলে কামাল হোসেনকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে আশপাশের ঘের মালিকরা ছুটে এলে মাছ শিকারিরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় কামাল হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মামলার আসামিরা হলো, উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের মৃত মোন্তাজ আলীর ছেলে কামাল হোসেন, জামাল হোসেন ও মশিয়ার রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন।