সারা দেশে পাটব্যাগ চালু করতে হবে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ২০১০ সালে পণ্যে পাট মোড়কের আইনটি সর্বতোভাবে বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে। প্রথমে আটা, চাল, ধানের ব্যাগ দিয়ে এর প্রয়োগ করা হবে। সুপারশপগুলোতে প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে সার্বিক সহায়তা করা হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর মতিঝিলে বিজেএমএ ভবনে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘পরিবেশবান্ধব পাটখাত ও পাট শিল্পের সমস্যা উত্তরণ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পণ্যে পাট মোড়ক আইনটির প্রয়োগ না হওয়ার বিষয়টি আলোকপাত করে বলেন, প্লাস্টিক ব্যাগে খাদ্য পণ্যের যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে তা থেকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বাঁচাতে হবে। পলিথিন উৎপাদন রোধে ক্যাম্পেইন করা হবে। প্রসঙ্গত, সভায় মতবিনিময়কালে পাট পণ্যে যুগোপযোগী প্রযুক্তিগত জ্ঞান ব্যবহার, অধিকতর গবেষণা, স্বল্প দাম ও সহজলভ্যতা, সহজ শর্তে ঋণ বা প্রণোদনা বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন পাট খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আহসান, মহাসচিব আব্দুল বারিক খান, পরিচালকরা ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।