বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের পরিচালক মো. সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনার সরকার আমাদের টাকায় অস্ত্র কিনে আমাদের সন্তানদের গুলি করে হত্যা করেছে। তার নির্দেশ মোতাবেক পুলিশ শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করেছে। মুগ্ধ কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মুগ্ধ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পানি খাওয়াইতেন। এটাই ছিল তার অপরাধ। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষাকে অপশনাল সাবজেক্ট হিসেবে রেখেছে। ইসলামী বিষয় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করেছে। যাতে মানুষ শিক্ষা থেকে দূরে চলে যায় সে ব্যবস্থা করছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিগত দিনে দেশে সাধারণ মুসলমান ও শিক্ষার্থীদের রমজান মাসে ইফতারি করতে বাধা দিত অথচ পূজা করতে সমস্যা ছিল না।
তিনি আজ কেরানীগঞ্জ উপজেলায় কদমতলী সারা কমিটি সেন্টারে ঢাকা জেলা দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন।
তিনি বলেন বাংলাদেশের মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করতে হবে। তাহলে দেশের শান্তি ও ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোনআন সুন্নাহর আলোকে নিজেদের জীবন কে পরিচালিত করতে পারলে আজকের সীরাত সফল হবে।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহর প্রিয় হাবীব হযরত মোহাম্মদ (সা.) দ্বীন প্রতিষ্ঠায় যত যুদ্ধ করেছেন তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইসলাম। আমরা প্রিয় নবীর উম্মত হয়ে কি দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠায় করতে রাজি আছি।
ঢাকা জেলা দক্ষিণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর আমির মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে, জেলা সেক্রেটারি এবিএম কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য নারায়নগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মো. শাহিনুর রহমান, ইসলাম ছাত্র শিবিরের ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি মাহবুবর রহমান, ঢাকা জেলা দক্ষিণের সাবেক আমির ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাশেম, মাওলানা মানছুর আহমেদ, শুভাঢ্যা জামে মসজিদ খতিব মাওলানা জুনায়েদসহ ঢাকা জেলা জামায়াতের থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সিরাত মাহফিল দলে দলে যোগদেন।
