রংপুরে তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্মকর্তা ছাড়াই চলছে
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর ব্যুরো
রংপুর জেলায় বর্তমানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এসব প্রতিষ্ঠানপ্রধান ছাড়াই চলছে। এগুলো হলো রংপুর সিটি কর্পোরেশন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুপস্থিতির কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর রংপুর সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের সব সিটি কর্পোরেশন থেকে মেয়রদের অপসারণ করে সরকার। মেয়রের অনুপস্থিতিতে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন। বিভাগীয় কমিশনারকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুপস্থিতির কারণে বিল-ভাউচারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল জটিলতায় আটকে আছে। এছাড়া ২০৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে ৪৪ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর রয়েছেন।
এদের মধ্যে ৮-১০ জন কাউন্সিলর মামলার কারণে পলাতক রয়েছেন। তাই ওই ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের ওপর। কিন্তু, তারা তাদের দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন।
এদিকে, যত দ্রুত সম্ভব উপাচার্য নিয়োগ না হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রংপুরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষসহ ৪০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। ফলে অভিভাবকহীন বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে কর্মকর্তারা অফিসে এলেও তাদের কোনো কাজ নেই।
এছাড়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বদলির এক মাস পেরিয়ে গেছে। নতুন পরিচালক নিয়োগ পেলেও এক মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি এখনো কর্মস্থলে যোগ দেননি। ফলে এই হাসপাতালে অভিভাবকও কমে গেছে। চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। দাপ্তরিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
গত ১২ আগস্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মজিদুল ইসলামকে বদলি করা হয়। একই সঙ্গে এই দুই কর্মকর্তাকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) করা হয়েছে। ফলে হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।