মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ
৮ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের পক্ষে ৮ দফা দাবি সদয় বিবেচনার জন্য বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আব্দুর রহিম। এ সময় তিনি ঘোষিত ৮ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিজয় সরণি টাওয়ারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর পরিচালক-৫ (প্রতিকল্প) এ কে এম ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত (পত্র সংখ্যা- ০৩.০০.০০০০.০৭২.২৭.০০১.২৪-০২) চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্যপরিষদের পক্ষে ৮ দফা দাবি সদয় বিবেচনার জন্য বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ফারুক হাসান, নুরতাজ আরা ঐশী, আলহাজ মো. ফজলুল হক, হাফেজ শহিদুল্লাহ, মোছাম্মদ আম্বিয়া, নুরজাহান বেগম, রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।
ঘোষিত ৮ দফা দাবিগুলো হলো- ১. স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার জুলুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থানাভিত্তিক তালিকা করে টপটেন ঘটনাকে ৪৫ দিনের মধ্যে সমাধান করতে হবে এবং অন্যান্যদেরও দ্রুত সমাধান করতে হবে। ২. ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প ও কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝুলিয়ে রাখা দাবির বিষয়টির উপর পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সমাধান করতে হবে। ৩. সরকারি টাকা ছাড়াই সাধারণ বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এনএসপিডিএল’র গৃহীত ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পসহ অনুরূপ ১০০টি প্রকল্প জরুরি ভিত্তিতে চালু করতে হবে। ৪. ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা করে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়ে প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে হবে। ৫. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ স্বৈরাচারী সরকারের সকল দোসরদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে। ৬. ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৭. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের পূর্বে এক শতাংশ ভোটারদের সমর্থন নেয়ার যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করতে হবে এবং ৮. হাসিনা কর্তৃক নির্যাতনের বিষয়গুলো জাতীয়ভাবে প্রচার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইমেজ বিল্ডিং করার আহ্বান।