১৫ বছরের জঞ্জালের সংস্কার ২-৩ বছরে হবে না
উপদেষ্টা সাখাওয়াত
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল ব্যুরো
বরিশালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাট, বস্ত্র, ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমি দুইটি মন্ত্রণালয়ে আছি, এটাকে সাগর চুরি বলা যায় না, হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর চুরি। গত ১৫ বছর যে সরকার ছিলো তারা পুরো সিস্টেম করাপ্ট করে ফেলছে। এখান থেকে বের হয়ে আসা খুবই ডিফিকাল্ট। তবে এ জঞ্জাল ২ অথবা ৩ বছরে সংস্কার করা সম্ভব না। দুই দিনের সফরে গতকাল রোববার দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেরিন একাডেমি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে অভিবাদন গ্রহণ শেষে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত আরো বলেন, কোনো ডিপার্টমেন্ট নেই, কোনো সিস্টেম নেই যে করাপ্ট করা হয়নি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তো শেষ করে ফেলা হয়েছে। অলমোস্ট ফিনিশ, আমরা চেষ্টা করছি এগুলো ঠিক করার। সরকারি পাটকল একটাও চলছে না, আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো লিজ দিয়ে চালু করার। সরকারের পক্ষ ব্যবসা করা সম্ভব না। দুর্নীতি রোধে দেশবাসীর কাছে সহায়তাও চেয়েছেন। ‘মব জাস্টিস’র পক্ষে নয় জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার গুরুত্ব দেন এম সাখাওয়াত। পাহাড়ে কেউ যাতে ইন্ধন যোগাতে না পারে সেজন্য পাহাড়িদের দুঃখ-বেদনা বুঝে, শান্তি বজায়ে সৌহার্দ্য স্থাপনে সবপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশের মেরিনদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে, দুবাই ও সিঙ্গাপুর অ্যাম্ব্যাসিতে নতুন দুটি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও ঘোষণা দেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নৌমন্ত্রণালায়ে কিছু কিছু প্রজেক্ট আছে, অনেকে জানেই না কেন হয়েছে এই প্রজেক্ট। এগুলো দেশবাসীর সহায়তা ছাড়া ঠিক করা সম্ভব না। চুরিচামারি বন্ধ করতে হবে। একটা লোককে ধরলে এখন এক হাজার কোটি টাকা, একটা লোকের ৩৬০টি বাড়ি। আমারা তো অনেক আগে জন্মগ্রহণ করেছি, আমরা তো কখনো দেখেনি দেশে এত বড় বড় জমিদার। দুদিন আগে কি ছিলো, আর এখন হয়ে গেছে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। এটাই জাতির জন্য বড় সমস্যা। করাপশন রিডিউস করতে হবে, এটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। উপদেষ্টা বলেন, আইনের মধ্যে সবাইকে চলতে হবে। শক্ত একশন নেয়া উচিত আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। পাহাড়ে সব সময় সমস্যা ছিলো। সেখনে বাঙালি অবাঙালি বাদে ১৩-১৪টি কমিউনিটি আছে, কেউ ছোট বা কেউ বড়। তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যরে ব্যাপার আছে। সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হলে অপাহাড়ি যারা আছে তাদের বুঝতে হবে পাহাড়িদের দুঃখ ও বেদনা। লোকালি এই সৌহার্দ্য বাড়াতে হবে। কেউ যাতে ইন্ধন যোগাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রক্তপাত বন্ধ করাটা বেটার। সম্প্রীতি বজায় না রাখলে সবারই ক্ষতি।