ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

সাইমনকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা
হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রতিদিনই এশার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় বলে যায়। এদিনও মসজিদে গিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে বলে যায়নি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। রাত ৮টার পরে লোকজন বাসার সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু রক্তভেজা শরীরে। তার অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার একমাত্র ছেলে। কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন বারবার। বলতে চাইলেন কেন আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এভাবে ১৬ বছর বয়সি কিশোর ছেলে হত্যার বর্ণনা দিলেন ২০ সেপ্টেম্বর রাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মকিমাবাদ বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত কিশোর সাইমনের মা বিউটি আক্তার।

গত রোববার রাতে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মিঠানিয়া ব্রিজসংলগ্ন একটি ৫তলা ভবনে সাইমনদের ভাড়া বাসায় কথা হয় তার মা-বাবার সাথে।

এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাইমনের গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের দিকদাই গ্রামের সরদার বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। সেখান থেকেই বাবা-মা বাসায় আসেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা-মা খুবই শোকাহত এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেক অনুরোধে কথা বললেন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। বিউটি আক্তার বলেন, স্বপ্ন ছিল ছেলে কোরআনের হাফেজ হবে। যে কারণে গত দুই বছর আগে এলাকার সাউদুল কোরআন হিফজ মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। সেখানে হিফজ বিভাগে পড়াশোনা করত সাইমন। ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরে আমার ছেলে খুব আনন্দ-উল্লাস করছিল। তখন বাসার প্রতিবেশীরা বলছিল সাইমন খুব দুষ্টামি করে, তার কোনো বিপদ হতে পারে। কিন্তু এসব আমি কিছুই মনে করিনি। পরক্ষণে সত্যি সত্যি আমি ছেলেকে হারিয়ে ফেললাম। আর কোনো দিন সাইমন আমাকে মা বলে ডাকবে না। তিনি বলেন, সাইমনের বয়স যখন ৯ বছর। তখন তার পিতা সাইফুল ইসলাম আমাদের ছেড়ে চলে যান। তিনি অন্যত্র বিয়ে করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত