ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতির বাইরের মানুষরা আজ রাষ্ট্রের চালকের আসনে। প্রায় অচল রাষ্ট্র যন্ত্রের স্টিয়ারিংয়ে হঠাৎ করে বসিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের। তবু এ পরিস্থিতিতে থেমে থাকার সুযোগ নেই এগোতেই হবে। ধ্বংস স্তূপের ছাই থেকে সোনা ফলানোর দায় পড়েছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর। বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ এরই মধ্যে চোখ রাঙালেন ভড়কে যাননি ছাত্র-জনতার তথ্য গণমানুষের আস্থাভাজন প্রধান উপদেষ্টা ও তার সাথীরা। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর অকুণ্ঠ সমর্থন ও অদম্য তারুণ্যের শক্তি সাহসে ভর করে দৃঢ় পদক্ষেপে এগুচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারসম্পন্ন করে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, শান্তি পূর্ণ, নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন- এটাই আজ জনগণের প্রত্যাশা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীদের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান আরো বলেন, আমরা জানি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং তার মাধ্যমে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠা করাই এ সরকারের অন্যতম কাজ। তবে এটা তাদের একমাত্র কাজ নয়। যে যে কারণে অর্থনীতিকে ধ্বংস করা যায়, মানুষের বাকশক্তিকে রুদ্ধ করা যায়, মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারকে রোধ করা যায়, সেসব কারণের একটা বিহীত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই করতে হবে। অতীতের ক্ষমতাসীন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয় এবং তাদের উপর সে আস্থা এবং বিশ্বাস ও জনগণের নেই। সংস্কার পরবর্তী আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করার জন্য মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মাসুদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাসচিব মো: ওমর ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সামসুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বকর।