ক্রমাগত দরপতনে বিনিয়োগকারীদের হতাশা ও ক্ষোভের মধ্যে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সম্ভাব্য ‘সংস্কারের রোডম্যাপ’ ঠিক করতে অংশীজনদের নিয়ে বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি। গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার থেকে এই সভা শুরু হবে। প্রথম দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই, চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ-সিএসই, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড-সিডিবিএল, সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড-সিসিবিএল, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট-বিআইসিএম, বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস-বিএএসএম ও ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড-সিএমএসএফ এর শীর্ষ নির্বাহীদের ডাকা হয়েছে।
১ অক্টোবর ব্রোকার-ডিলারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন-ডিবিএ, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিএমবিএ, অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এএএমসিএমএফ, অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ-এসিআরএবি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ-বিএপিএলসি, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল-এফআরসি ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ-আইসিএবি এর সঙ্গে বৈঠক হবে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার, এজেন্সি এবং বিনিয়োগকারীদের সংগঠনের সঙ্গে পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কারের বিষয়ে মত বিনিময় সভা করবে বিএসইসি। গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বিএসইসির দায়িত্বে আসেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সরকার পতনের পর চার কর্মদিবসে ডিএসইর সার্বিক সূচক ৭৮৬ পয়েন্ট বেড়ে গেলেও পরে টানা পতন হচ্ছে। ১১ অগাস্ট ডিএসইএক্সের সূচক ৬ হাজার ১৫ পয়েন্ট হলেও এখন তা ৫ হাজার ৭৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, সূচক কমেছে ২৭৮ পয়েন্ট।