কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (বীরোত্তম) বলেছেন, সমাজটাকে বদলাতে হবে। অল্প কদিনের মধ্যে একটি বিরাট পরিবর্তন হয়েছে, এটাকে মহাবিপ্লব বলা চলে। গত ১৬-১৭ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা ভালো ছিল না। আওয়ামী লীগের সরকারও ছিল না, মানুষের সরকারও ছিল না। শেখ হাসিনা সরকার ছিল এবং যতকিছু অন্যায় করেছে তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা, বাকিরা বাধ্য হয়ে হয়তো ২-৪ জন করেছে। এর পরিবর্তন দরকার। এই বিপ্লব যদি ব্যর্থ হয় তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অন্ধকার। সেজন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখতে হবে। সেইখানে আমাদের সন্তানের জীবনদান আল্লাহ গ্রহণ করুক এই শেষ ব্যক্তি হোক। যার দৌলতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
কক্সবাজারে ডাকাতদের হামলায় নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের বাসায় গতকাল মঙ্গলবার স্বজনদের সমবেদনা জানানোর পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করের বেতকা গ্রামে নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিমের পৈত্রিক বাড়ির উঠানে সাংবাদিকদের আরো বলেন, দেশটা কেমন জানি হয়ে গেছে। মানবিক মূল্যবোধ একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। একটা সেনাবাহানীর গায়ে ডাকাতরা আঘাত হানতে পারে তাহলে বুঝতে হবে সমাজে আইন-কানুন বলতে কিছু নেই। আমি এটাকে কোনো গুরুত্ব দিতাম না। যদি একটা সাধারণ মানুষ হতো তার পেছনে ছোরা মারছে, চাকু মারছে বা দা দিয়ে আঘাত করেছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর পোশাক পরা একজন মানুষের গায়ে দুষ্কৃতকারীরা যখন আঘাত হানতে পারে বা সাহস পায় তখন বুঝতে হবে আইনশৃঙ্খলা বলে অথবা দেশের শাসনব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে একটা শ্রদ্ধা ভালোবাসা, দুষ্ট লোকের যে ভয় থাকে তার কিছু অবশিষ্ট নেই।
এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি রাজনীতিকে ইবাদতের মতো মনে করি। রাজনীতি করি এজন্য আমি প্রচুর সম্মান পেয়েছি। প্রচুর অসম্মানও পেয়েছি। গালাগালিও শুনেছি। এতো দিন বেঁচে না থাকলে আমি হয়তো গালাগালি শুনতাম না। আমি যদি ‘৭১-এর যুদ্ধ করতে না পারতাম যারা গালাগালি করেন তাদের অধিকাংশদের জন্ম হয়তো পাকিস্তানের জারজ হিসেবে হতে পারতো। আমি আজকে একজন কাতর বাবা, মা-বোন তাদের পাশে শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করার জন্য এসেছি।