শ্যামপুর সাব-রেজিস্টার অফিস

দলিল লেখক সমিতিতে বিতর্কিতরা ফের নেতৃত্বে

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

রাজধানীর শ্যামপুর সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতিকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা ধরনের অন্যায়-অনিয়মের বিতর্কের জন্ম দিয়ে ভয়ংকর কালো অধ্যায় সৃষ্টিকারীরাই আবার দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর নতুনরূপে বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বীরদর্পে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ যেনো তাদের অব্যাহত অপকর্ম চালিয়ে যেতে নতুন বোতলে পুরোনো মদের কৌশল অবলম্বন করেছেন। এদের মধ্যে মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন দলিল লেখক সমিতির নেতা বনে গিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। হয়রানির শিকার, সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের নাম ভাঙ্গিয়ে শ্যামপুর সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. মফিজ উদ্দিন মুন্সি এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন সাধারণ দলিল লেখকদের হয়রানি, সেবা প্রত্যাশীদের জিম্মি করে জমির দলিলে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা আদায়, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ভূমি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করতো। এরা আ.লীগের ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত করেছিল। বিশেষ করে মফিজ উদ্দিন মুন্সির ভাই, ভগ্নিপতি, চাচাতো ভাইসহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক সংঘবদ্ধ দালাল চক্র গড়ে তোলে। এরফলে সেবা নিতে আসা নারী-পুরুষ বিভিন্ন কায়দায় চক্রের সদস্য কর্তৃক হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হতো। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে যান। এরপর শ্যামপুর দলিল লেখক সমিতির বিতর্কিতরাও গাঢাকা দেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন বেপরোয়াভাবে অন্যায়-অপকর্ম করায় সাধারণ দলিল লেখকরা তাদের বিরুদ্ধে অতিষ্ঠ ছিল। পদত্যাগের কয়েক দিন পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নানা অপকর্মের হোতা পদত্যাগকারী মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেনসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। হয়রানির শিকার ভুক্তভোগী দলিল লেখক সাইদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে সভাপতি-সম্পাদকের পদ দখল করে একের পর এক অন্যায়-অনিয়ম করেছেন। এরা দলিল লেখকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পারপাস দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিজেরাই গলধকরণ করেছেন। দীর্ঘ সময়ে তারা অবৈধ পন্থায় নেতৃত্ব ধরে রাখলেও কখনোই সমিতির আয় ব্যয়ের হিসেব নিকাশ দেননি।