হালুয়াঘাটে গত ৪ দিনের ভারিবর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে এখন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এরই মধ্যে কৈচাপুর, ধারা, ধুরাইল, স্বদেশী, নড়াইল, বিলডোরা, শাকুয়াই, হালুয়াঘাট ইউনিয়নের কালিয়ানীকান্দাসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। রাস্তা, মাঠ-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। স্কুল, মাদ্রাসা, ঘর-বাড়ির চারপাশেই পানি। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। বিভিন্ন পুকুর তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। অপরদিকে এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট। ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশের কারণে রান্নার কাজও ব্যাহত হচ্ছে, তাই অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে তারা। মানুষের এতো দুর্ভোগেও নেই পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা। বন্যাকবলিত মানুষরা সেখানে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জোর দাবি জানান। স্থানীয়রা বলছেন, চারদিক পানিতে থইথই করছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাও রয়েছে পানির নিচে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে- কংশ, ইছামতি নদীর পানি উপচে- নয়াপাড়া, ডুবারপাড়, চরগোরকপুর, কৈচাপুর ইউনিয়নের বড়খালেরপাড়, যোকাবিলেরকান্দা, নগরিয়াকান্দা, গাঙ্গিনারপাড়, গুনিয়ারীকান্দা ও ধারা ইউনিয়নের মুকিমপুর গ্রামসহ আশপাশ এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: এরশাদুল আহমেদ জানান, সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।