ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিভিন্ন ফসল ডুবে যাওয়ার উপক্রম

বর্ষণে রাস্তাঘাটসহ কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

বর্ষণে রাস্তাঘাটসহ কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

সিরাজগঞ্জে টানা বর্ষণে রাস্তাঘাটসহ কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন ও বিভিন্ন ফসল ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এরইমধ্যে জীবনযাত্রা প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ টানা ও দফায় দফায় বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানে কাঁচাপাকা রাস্তাঘাটসহ নিম্নাঞ্চলের অনেক কাঁচা ঘরবাড়িও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এলাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ পানি দ্রুত নিষ্কাশন না হওয়ায় বিশেষ করে রোপা আমন ধান ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

তবে শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, অবৈধ পুকুর খনন, জলাশয়ের পানি নিষ্কাশনের মুখ বন্ধসহ বিভিন্ন কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর টানা বর্ষণে রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়। অনেক কাঁচাপাকা রাস্তাঘাটে ছোট বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলেও এখন বিঘ্ন ঘটছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, টানা বর্ষণে ফসলের কোনো ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। আবহওয়া পরিবর্তন হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে এ রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

এছাড়া এলজিইডি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলছেন, টানা বর্ষণে গ্রামীণ অবকাঠামো রাস্তাঘাটের অনেক স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এদিকে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাজমুল হোসাইন বলেন, গত সোমবার দিনভর বৃষ্টি না হলেও মধ্যরাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার প্রায় দিনভর দফায় দফায় বর্ষণ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৯২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা অভ্যন্তরে অনেক স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ও হচ্ছে। তবে আরো ২-৪ দিন বৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত