কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, বিআরটিএ’র অব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত ত্রুটির কারণে দেশের সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। গড়ে উঠছে না নিরাপদ ও জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা। স্বার্থবাদী গোষ্ঠী রাজনীতিকীকরণের মাধ্যমে গোটা পরিবহন খাত চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির নৈরাজ্যে পরিণত করেছে। রাজধানীর গণপরিহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য কোম্পানিভিত্তিক বাস পরিচালনার উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করেছে এই গোষ্ঠী। বিবৃতিতে বলা হয়, বিআরটিএ প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান এবং অপেশাদার ব্যবস্থাপনার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষ আহত-নিহত হচ্ছে। কিন্তু বিআরটিএ’র জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার অভাবে দায়ীদের শাস্তি হচ্ছে না। সড়ক পরিবহন আইন ছয় বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। শুধু কমিটি গঠন এবং সুপারিশ তৈরির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির কাজের কোনো সফলতা নেই। প্রতিষ্ঠানটির নামই মানুষ জানে না। এর কাজ কী বোঝা যায় না। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) প্রত্যাশিত পরিবহন সেবা দিতে ব্যর্থ। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মনে করে, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে বিআরটিএর জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। একইসঙ্গে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এবং বিআরটিসিকেও সংস্কার করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করে টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন করলে দেশে নিরাপদ-জনবান্ধব সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিকী, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক হাসিনা বেগম, ফেরদৌস খান এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান।