প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি ঘোষণার সিদ্ধান্ত
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের উদ্যোগে ১৯ হেয়ার রোডের ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন’কে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করার কার্যক্রম শুরু করেছে প্রত্মতত্ত্ব অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কিছু ক্ষতি হয়। এর প্রেক্ষিতে, প্রধান বিচারপতি এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইনি কাঠামোর মধ্যে এই স্থাপনাটির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুরাকীর্তি আইন-১৯৬৮ অনুযায়ী, বাসভবনটির মালিকানা ও ব্যবহার স্বত্ব বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের কাছে থাকবে। এর মাধ্যমে এটি জনমানসে জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম এই স্থাপনার ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রত্মতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঐতিহাসিক এই স্থাপনার গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রত্মতত্ত্ব অধিদফতর ৬ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পায়। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যে আবাসিক ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল, তার মধ্যে ১৯ হেয়ার রোডের বাসভবন অন্যতম।
১৯০৮ সালে নির্মিত এই ভবনের স্থাপত্যশৈলী মোঘল ও ইউরোপীয় ধ্রুপদি রীতির মিশ্রণ। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও ১৯৫০-এর দশক থেকে এটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবনটির ঐতিহ্য ও গুরুত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হবে।