চলমান শ্রমিক আন্দোলনের অস্থিরতা, নৈরাজ্য ও সংকট নিরসনে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তারা এ আহ্বান জানান। ‘পোশাক ও ওষুধ শিল্পে চলমান অস্থিরতা ও নৈরাজ্য বন্ধে করণীয়’ বিষয়ে এ মতবিনিময় সভা করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। এতে সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আ ন ম শামসুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, নানাভাবে দেশে অশান্তি সৃষ্টির তৎপরতা শুরু হয়েছে। আনসার আন্দোলনের পর এখন দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড তৈরিপোশাক ও ওষুধ শিল্পে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। আমরা যদি দ্বিতীয় স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই তাহলে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সাভার, গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক আন্দোলন চলছে। তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, চাকরি স্থায়ীকরণ, ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন এবং একটি জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে সমস্যার সমাধান করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। শ্রমিক নেতারা বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে আন্দোলনে নামায়। বিভিন্ন গোষ্ঠী শ্রমিক আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে ভিন্ন দিকে প্রবাহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন, অনেক সময় টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করা হয়। কিছু তথাকথিত শ্রমিক নেতা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পতিত সরকারের কথামতো এ কাজ করেন। অবিলম্বে তাদের আটক করতে হবে।
কারখানা মালিকদেরও দায় আছে উল্লেখ করে শ্রমিক নেতারা বলেন, অনেক কারখানা মালিক শ্রমিকদের বকেয়া বেতন নিয়ে নানান টালবাহানা করেন। কোনো কোনো কারখানায় তিন থেকে চার মাসের বেতন বকেয়া। শ্রমিকের পেটে ভাত না থাকলে সে তো আন্দোলন করবেই। এ সময় শ্রমিকদের রেশনিং, বাসস্থান, চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার আদায়ে সব শ্রমিক নেতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।