ভোটার হওয়ার আবেদনের তিন মাসের মধ্যে আঙুলের ছাপ দিতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সময়ের মধ্যে আঙুলের ছাপ না দিলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে বলে জানায় সংস্থাটি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, অনেকেই আবেদন করার পর মাসের পর মাস চলে যায়, তবুও আঙুলের ছাপ দিতে আসেন না। ফলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এতে কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে দাপ্তরিক কাজ বেড়ে যায়। তাই তিন মাসের মধ্যে কেউ আঙুলের ছাপ না দিলে তার আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অন্যদিকে আগে আবেদন করলে কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ প্রদান এবং ছবি তোলার জন্য তারিখ দিতেন। এতে অনেক সময় সেবা গ্রহীতাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মর্জির ওপর নির্ভর করতে হতো। এতে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়তেন। তাই সেবাটি সহজ করার জন্য স্বয়ংক্রিয় অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে কেউ আবেদন সম্পন্ন করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ প্রদান এবং ছবি তোলার তারিখ পেয়ে যাবেন। সেই তারিখে এলেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। এ ছাড়া আগে প্রতিদিন এ সেবা দেয়া হতো না। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন কর্মকর্তাদের জন্য সেবা গ্রহীতাদের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেয়া এবং ফটো তোলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠকের পর মাঠ কর্মকর্তাদের এরই মধ্যে এমন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদারের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নতুন ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিডিউল প্রদান করতে হবে। শিডিউল প্রদান করার পরও আবেদনকারী কর্তৃক পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক প্রদান করা না হলে সার্ভার থেকে ওই আবেদন অটোমেটিক ডিলিট হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক কর্মদিবসের নতুন নিবন্ধনের জন্য ছবি তুলতে হবে। নতুন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে দেশের ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১১ লাখ। প্রতি বছর নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন আসে ২০ লাখের মতো। এ ছাড়া অনেক প্রবাসীও দেশে আসেন ভোটার হতে। এক্ষেত্রে ইসির নতুন সিদ্ধান্ত নতুন ভোটার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।