দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য আবার একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলন ছাড়া মানুষকে সচেতন করা সম্ভব নয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশ সেফ ফুড অ্যালায়েন্স আয়োজিত ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক একটি গোল টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, রাজধানীসহ শহরাঞ্চলে খোলা ও নোংরা জায়গায় যত্রতত্র বিভিন্ন খাবারের দোকান গড়ে উঠেছে। এ ধরনের খাবার খেয়ে মানুষ নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
পঙ্গু, বিকলাঙ্গ এবং মানসিক ভারসাম্যহীন শিশুর সংখ্যা প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে। এসব বিষয়ে আমাদের জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে হবে। বিসেফ ফাউন্ডেশনের অ্যাডভাইজার ড. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য আবার একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি জেলায় গিয়ে মানুষকে জানাতে হবে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কিছু কোম্পানির কাছে মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে। যে খাবারটা ভালো, সেটা জানার পরও পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে অর্গানিক খাবার থাকলেও, সেটা পাওয়া যায় না। প্রতিটি খাবার উৎপাদন থেকে খাওয়ার আগ পর্যন্ত ভেজালে পরিপূর্ণ।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, দেশে কৃষকদের গুরুত্ব দেয়া হয় না। তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের দাবিদার। সচিব, ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যারা যে গুরুত্ব পান সেটা তারা পান না। ঢাকায় কিছু অভিযান করে সংবাদমাধ্যম আসা যায়, তবে সেটি কার্যকর কিছু হয় না।
নিরাপদ খাদ্যে কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, আমাদরে অনেক কিছুই করার থাকে না। আমাদের এখান থেকে কেউ কখনো লাইসেন্স নেয় না। আমরা জানিই না বাংলাদেশে কতজন খাদ্য নিয়ে ব্যবসা করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যে মধ্যে ছিলেন কৃষি ও পরিবেশ সংগঠক ব্রাত্য আমিন, নিরাপদ শপের শাহজাহান পাটোয়ারী প্রমুখ।