দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মধ্যস্বত্বভোগীদের বড় সমস্যা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পাবনা প্রতিনিধি
ডিমসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যস্বত্বভোগীদের বড় সমস্যা উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের বড় বড় ডিম উৎপাদন কোম্পানিগুলো চাহিদার মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে। বাকিটা সরবরাহ করতে হয় প্রান্তি খামারিদের।
বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দূর করে উৎপাদকদের সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে। এর মাধ্যমে উৎপাদকরা সমবায়ের মাধ্যমে আড়তদারদের সরাসরি ডিম সরবরাহ করতে পারবে এক্ষেত্রে উৎপাদক-আড়তদার লাভবান হবেন এবং ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ক্রয় করতে পারবে। গতকাল শনিবার পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাবনা জেলার মৎস্যজীবী ও প্রাণিসম্পদের প্রান্তিক খামারিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশে অত্যাধিক গরম ও শীত হচ্ছে এরফলে ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণেও অনেক খামার নষ্টের ফলে ডিমের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে।
খামারিরা মুরগির খাদ্যে ও বাচ্চার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে অবগত করলে উপদেষ্টা বলেছেন, আপনারা স্বাধীন খামারি হবেন কন্ট্রাক্ট খামারি হবেন না। কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো ব্যবসা করে যাচ্ছে, তারা লাভবান হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত খামারিরা লাভবান হচ্ছে না। ফিডের ক্ষেত্রে কয়েকটি কোম্পানির হাতে সবাইকে জিম্মি হতে দেয়া হবে না- এজন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যারা ডিম, মাছ, মাংস সরবরাহ করে আমাদের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছেন তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাবনা জেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে আর সম্ভাবনার পেছনে যে সমস্যা রয়েছে তা সরকার দূর করতে চায়। পাবনা জেলাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রক্ষায় ও সহায়তা করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রকৃত মৎস্যজীবীর নামে অন্য কেউ যেন সুবিধা না পায় তা কঠোরভাবে দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএসএম মুশাররফ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম, পাবনার বিভিন্ন উপজেলার মৎস্যজীবী ও খামারিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।