বকেয়া মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চা-শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার থেকে দেশের এনটিসির ১৬টি চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এনটিসির বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিকনেতারা গত রোববার বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সোমবার থেকে এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। চা শ্রমিকদের ভাষ্য, শ্রমিকদের পাঁচ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে। মজুরি না পেয়ে অর্থকষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তারা কাজে ফিরবেন না। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, সারা দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৬টি চা-বাগান আছে। এসব বাগানে প্রায় ১৭ হাজার চা-শ্রমিক কাজ করেন। তাদের ওপর আরও ৩০ হাজার মানুষের ভরণপোষণ নির্ভর করে। কমলগঞ্জের পদ্মছড়া চা-বাগানের বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কৃষ্ণলাল দেশোয়ারা বলেন, আমাদের শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই। তারা অনেক কষ্ট করে চলছেন। এখন পেটে খিদা নিয়ে শ্রমিকরা কাজ করবেন কীভাবে? চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতির কর্মসূচিতে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলগঞ্জ উপজেলার এনটিসির এক ব্যবস্থাপক জানান, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি না দেয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। টাকা না থাকায় শ্রমিকদের পেমেন্ট দেয়া যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদী।