ঢাকা ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ধামরাইয়ে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন

ধামরাইয়ে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন

ঢাকার ধামরাইয়ে দলীয় প্রোগ্রামে যাওয়ার পথে মিছিলে হামলা করে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে, সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যঙ্গাত্মক নাম ব্যবহার করে নিউজ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। গতকাল উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সেলিম খাঁন তার ব্যবসায়ীক অফিসে বসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দলীয়ভাবেও আমার বিএনপির পাদপদবী রয়েছে, গতকাল কয়েকটি অনলাইন ভার্সনে আমাকে নিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক নিউজ প্রচার করে, এতে আমার ব্যাপক মানহানী হচ্ছে, আমি এমন নিউজের তিব্র প্রতিবাদ জানাই।

প্রসঙ্গত গত ১৬ অক্টোবর আমাদের খরারচর বাজারে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ তমিজ উদ্দিনের কর্মিসমাবেশ ছিলো। সেখানে আমি মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম, মাঠে ঢুকতেই সাইদুর আমার হাত ধরে টেনে বাজারে নিয়ে ইব্রাহিম মেম্বারের নেতৃত্বে সাইদুর, রাশেদ, মান্নান, ফিরোজ, খালেক, সাহাবুর মেম্বার, হালিম ও আলাউদ্দিন আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এসময় আমি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে সমাবেশের মঞ্চে উঠে বিষয়টি সবাইকে খুলে বলি, পরে প্রোগ্রাম শেষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম মাস্টার আমাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা আবার হামলা চালায়, এতে আব্দুল আলিম মাস্টারসহ আমি ও বিপ্লব হোসেন গুরুত্বর আহত হই। এসময় নেতৃবৃন্দরা আমাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। উক্ত ঘটনাকে মিথ্যা প্রমাণ করতে হামলাকারীরা নিজেদের বাঁচাতে মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক তথ্য দিয়ে কয়েক পত্রিকায় ব্যঙ্গাত্মক নিউজ করায়। নিউজে আমাকে ‘ভেজাইল্যা সেলিম’ বলে প্রকাশ করে এতে এলাকায় আমার সম্মানহানি হচ্ছি, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বর্তমানে ইব্রাহিম মেম্বার বিএনপির অন্য গ্রুপের সাথে মিশে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছি।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলিম মাস্টার বলেন, এমন সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেলিম আমাদের দলের লোক সে রোয়াইল ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি। আমাদের কর্মী সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার পথে তার উপর হামলা করে। ইব্রাহিম মেম্বারকে আমি অনুরোধ করার পরেও সে বলে সেলিমকে আপনি রেখে যান, আমরা ওকে বাড়ি ফিরতে দিবো না ওকে মাইরা ফালামু। মূলত ইব্রাহিম মেম্বার আওয়ামী লীগের লোক বিএনপির কোনো পদ নেই তার। সে ভিন্ন উপজেলা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে তমিজ সাহেবের কর্মিসমাবেশ প- করতে চেয়েছিল। তারা আমার উপর হামলা চালায় এতে আমার একটি দাঁত ভেঙে যায়, সেলিম ও বিপ্লব গুরুতর আহত হয়। এখন তারা নিজেদের বাঁচাতে এই মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। এ ঘটনায় আমার লিডার তমিজ উদ্দিন আমাকে হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় তিনি আমাকে বলেন, কোনো মামলা অভিযোগ কিছুই করতে হবে না, যদি কোনো বিএনপির লোক জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত