গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। যেন সংসদে একক কোনো দলের আধিপত্য না থাকে। এছাড়া একইসঙ্গে দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধান নয়। গতকাল দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব ভালো না। যে একবার ক্ষমতা যায়, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রশাসনসহ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ২০২১ সালে দল ঘোষণার সময়ই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র, কার্যকর সংসদ, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং সংখ্যানুপাতি নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। একইসঙ্গে দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধান নয়। দলীয় প্রধান একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকার প্রধান পুরো রাষ্ট্রের। সে জন্য আমরা বলেছি একইসঙ্গে কেউ দলীয় প্রধান ও রাষ্ট্র প্রধান হতে পারবে না। নূরুল হক নূর বলেন, গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, সে ধরনের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, মানুষ আর প্রথাগত রাজনীতির পথে হাঁটতে চায় না। তাই আমাদেরও বদলাতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে ভারত ১৫ বছর সমর্থন করেছে। শেখ হাসিনার মতো বাংলাদেশের গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরশাসক, গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়ে ভারত এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং গণহত্যাকারীদের সমর্থন করায় ভারতের দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। নূর বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বিগত সময়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে রাজপথে ছিল, নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এই আন্দোলনে আমাদের জেলে যেতে হয়েছে, উপদেষ্টাদের নয়। সরকার ব্যর্থ হলে দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। তাই আমরা চাই না সরকার ব্যর্থ হোক। কিন্তু এ ধরনের সরকারের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই রাষ্ট্র সংস্কার ও সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের সরকার দরকার। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ প্রমুখ। আবদুল হান্নান মাসুদ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।