গত ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ গণমাধ্যমে ‘১৭ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন হোসেন আলীর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রায় ১৭ বছর ধরে একজন ব্যক্তিকে শিকলবন্দি করে রাখার অভিযোগটি অত্যন্ত অমানবিক। ঘটনাটি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। সুয়োমটোর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, উক্ত ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ জীবন এবং চলাফেরার অধিকার ক্ষণ্ণ হয়েছে যা অত্যন্ত অমানবিক। পর্যাপ্ত জ্ঞান ও সচেতনার অভাবে আমাদের সমাজে প্রায়ই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহজাত মর্যাদা ও সমতা নিশ্চিত করা হয় না। অন্যদের মতই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমতার ভিত্তিতে সামাজিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে সক্ষম। গৃহীত সুয়োমটতে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের বরাতে উল্লেখ রয়েছে, তালায় প্রায় ১৭ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন হোসেন আলী সরদার (২৪)। জন্ম থেকে বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় অন্যত্র চলে যাওয়ার ভয়ে তাকে প্রতিদিন বাড়ির পেছনে রাস্তার ধারে শিকলবন্দি করে রাখা হয়। ডাক্তারের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়ভাবে তার ভালো চিকিৎসা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম।
সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রায় ১৭ বছর ধরে একজন ব্যক্তিকে শিকলবন্দি করে রাখার অভিযোগটি অত্যন্ত অমানবিক। বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হলেও তার চলাফেরার অধিকার রয়েছে। এ অবস্থায়, সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক অভিযোগের বিষয়টি বিশেষ করে (ক) সরকারি সুযোগ সুবিধা; (খ) স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির ভূমিকা; (গ) স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের খুলনা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।